
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতিতে যত সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে কেবল ব্যাংকিং খাতে কিছু দৃশ্যমান হয়েছে। ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল হয়েছে। রিজার্ভ বেড়েছে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাজারে ডলার বিক্রি করতে হয়নি।
সেই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়ম দূর করার উদ্যোগ দৃশ্যমান। কিন্তু প্রবৃদ্ধির গতি কমে গেছে। এর মূল কারণ হলো অর্থনীতির প্রাণ বা বিনিয়োগের প্রবাহে টান পড়া। ফলে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বাড়ছে।
বিষয়টি হচ্ছে, বিনিয়োগ কমে যাওয়ার সরাসরি প্রভাব পড়ছে চাকরির বাজারে। নতুন কারখানা বা প্রকল্প না এলে কর্মসংস্থান বাড়ে না; বরং বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ কমাতে গেলে ছাঁটাইয়ের ঝুঁকি তৈরি হয়। এতে সাধারণ মানুষের আয়ের উৎস সংকুচিত হচ্ছে। শেয়ারবাজারের বেশ কিছু কোম্পানি গত বছরের জন্য লভ্যাংশ দেয়নি। এই প্রবণতা দীর্ঘমেয়াদি হলে প্রবৃদ্ধি ও আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে।
Leave a Reply